গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় - এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়প্রিয় পাঠক আপনি কি এই গরম নিয়ে খুব চিন্তিত? আর নয় চিন্তা আপনাদের চিন্তা দূর করার জন্য আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের জন্য সম্পন্ন। গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে। আপনি যদি গরমে ঘর ঠান্ডা রাখা উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখা উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এবং আজকের আর্টিকেলে আলোচনা বিষয় থেকে আপনারা জানতে পারবেন গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং এসি ছারা ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়।গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় ও এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করুন।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়


পোষ্ট সূত্রিআপনারা আরো জানতে পারবেন ছাদ ঠান্ডা রাখার উপায়, রান্নাঘরে গরম কমানোর উপায়, মেজে ঠান্ডা রাখার উপায়। তাই আর দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং জেনে নিন গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে।

ভূমিকা 

বর্তমানে বাংলাদেশে কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪২থেকে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম পড়েছে এ সময় মানুষের তাপমাত্রা এবং গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।তাই এত গরম থেকে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন তা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।

আপনি যদি প্রচন্ড গরমের সময় নিজের বাড়ি ঠান্ডা রাখতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।আপনাদের সুবিধার্থে শরীরের গরম কমানোর উপায়, ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়, ছাদ ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সবাই জেনে নিন গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং এসি ছাড়া ঘটনা রাখার উপায়।

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

এত গরম পড়ার কারণে মানুষ ঘরে স্থির ভাবে বসে থাকতে পারছে না। তাই আমরা অনেকেই জানতে চাচ্ছি এত গরমে কিভাবে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়? তাই আজকে কিভাবে গরম ঘর ঠান্ডা রাখা যায় তা নিয়ে এ আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রচন্ড গরমের কারণে রোদের তাপে ঘর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এইজন্য আমরা ফ্যান ব্যবহার করে থাকি কিন্তু যখন গরম খুব বেশি পরে তখন কিন্তু ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে যায়। তাই আমরা সব সময় ঘরের ভেন্টিনেটার পরিষ্কার করে রাখবো। যেন ঘরে আলো বাতাস ঢুকতে পারে। এবং বিকেল বেলায় ঘরের বাইরের তাপমাত্রাখুব কম থাকে তাই আপনারা জানালা দরজা খুলে রাখুন।


যেন বাইরে আলো বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে।আমরা সবাই ঘরের ভেতরের জানালায় খুব হালকা পর্দা ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই গরমে হালকা পর্দা ব্যবহার না করে ভারী পর্দা ব্যবহার করা ভালো। আমরা অনেকেই নানা রকম কালারের পর্দা ব্যবহার করে থাকি কিন্তু কালো রংয়ের পর্দা ব্যবহার করবেন তাহলে রোদ ঢুকে বেশি তাপমাত্রা হবে না। এবং বাসার সিলিং ফ্যান সব সময় পরিষ্কার রাখুন কারণ তাতে ময়লা হলে বাতাস কম হয় তাই আমরা সব সময় সিলিং ফ্যান পরিষ্কার রাখবো।

টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

আপনারা কি টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জানতে চান? আসলে সব বাড়িঘরের থেকে টিনের বাড়িঘরে কিন্তু খুবই তাপমাত্রা বেশি হয় কারণ টিনের ঘরে অল্প রোদহলেও তাপমাত্রা বেশি হয় টিনের ঘরে দুপুরবেলা বসে থাকা যায় না। টিনের ঘরে প্রচুর গরম পড়ে। তাই গরমকালে টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



টিনের চালে বিচুলি, খর একটু মোটা করে রেখে দিতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার লাভ হবে কিন্তু আগুন থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। এবং ঘরে টিনের চালের ওপরে খরের আটি দিয়ে মোটা করে টিন চাপা দিয়ে দিবেন তারপর খরের আটি গুলোকে ভালভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন দেখুন গরমে কষ্ট কম হবে এবং ভালো ফলাফল পাবেন।


কিন্তু প্রতিদিন একটু কষ্ট করে ঘরগুলোকে ভেজাতে হবে।টিনের ঘরে বসবাস করার সুবিধা হল বৃষ্টি হলে ঘর শীতল হয়ে যায় এবং শীতকালেও বেশ ঠান্ডা থাকে ঘর। কিন্তু গরমকালে অল্পতেই আবার গরম হয়ে যায়। তাই এই গরম থেকে বাঁচার জন্য ঘরে অবশ্যই ভেন্টিলেটর রাখতে হবে।

এর দ্বারা গরমে তাপমাত্রা সরাসরি ঘরে আসে না এবং এবং ঘর অনেক ঠান্ডা থাকেএবং গরম থেকে বাঁচার জন্য ঘরে জানালা দুইপাশের রাখা উচিত যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং বেশি বেশি করে গাছ লাগান বিশেষ করে মেহগনি গাছ এবং নিম গাছ। এ দুটি গাছ চারিপাশে ঠান্ডা রাখে।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য আমাদের যে সকল কাজগুলো করতে হবে। আমাদের সবার সামর্থ্য কিন্তু এসি কিনা সম্ভব না। এসি কিন্তু নিম্ন বা মধ্যবর্তী পরিবারের জন্য নয়। তাই অনেকেই কিন্তু এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জানতে চাই।কিন্তু এসি ছাড়াও যে ঘর ঠান্ডা রাখা যায় তা হয়তো অনেকেই জানে না।

তাপ প্রবেশ রোধ করা :জানালার মধ্যে দিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ তাপ প্রবেশ করতে পারে। দিনে যে কোন সময় সবচেয়ে বেশি রৌদ্রজ্জ্বল থাকে তা প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দেয়

রাতে ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দেওয়া : রাতে কিন্তু বাইরে অনেক সুন্দর বাতাস হয় তাই রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুলে রাখবেন তাতে ঘরের গরম বাতাস বাইরে চলে যাবে এবংঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করবে। এবং ঘর শীতল করে দেবে।

বরফ পদ্ধতি : একটি ঘরকে ঠান্ডা রাখতে হলে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। যেমন বড় ফ্যানের নিচে বাটিতে বরফের টুকরা রাখলে এটি গরমের তাপমাত্রা চুষে নিয়ে গলতে শুরু করে দেয় এতে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়।

মোটা ও গাড়ো রঙের পদ্মার ব্যবহার : বাজারে বিভিন্নরঙের পর্দা বিক্রয় হয় আপনি যদি এর মধ্যে মোটা ও গারো রঙের পর্দা কিনেন যেমন বেগুনি, নীল, কালো, খয়েরী এমন পর্দা গুলো বাছাই করেন যেন তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি হয়। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি কালো রঙের পর্দা নেন কারণ কালো পর্দায় তাপমাত্রা বেশি শোষণ করে।

ছাদের গরম কমানোর উপায়

গরমের সময় ছাদ অতিরিক্ত গরম হয়ে থাকে এবং ছাদের গরম কমানোর জন্য ভেজা কার্পেট ছাদের ওপরে বিছিয়ে রাখতে হবে। ছাদের উপর ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা পানি ব্যবহার করতে পারি পানি ছাদের উপরে ছেটানোর মাধ্যমে ছাদের গরম ভাব বের হয়ে যাবে। এবং বেশি বেশি পানিতে ভিজাতে হবে। ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা ছাদের ওপরে ছোট বড় টপ গাছ লাগাতে পারি।

ছাদকে ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা ছাদের ওপরে ছাউনি তৈরি করতে পারি যেন সূর্যের তাপমাত্রা ছাদে না পড়ে ছাউনিতে পরেএবং ছাদ ঠান্ডা থাকবে এর ফলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।এছাড়াও আপনি ছাদে বাগান তৈরি করতে পারেন ছাদের উপরে সুন্দর সুন্দর গাছ লাগিয়ে ছাদে আপনি বাগান তৈরি করতে পারেন যার ফলে সূর্য রশ্মি শোষণ করে নিবে ছাদে ছায়া হবে এবং সাদ সহজে গরম হবে না।

রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

গরমে তো এমনি প্রচুর গরম তারপরে রান্নাঘরে তো গরম থাকবেই। যখন প্রচুর গরম পড়ে তখন রান্না করা অসহ্য হয়ে যায়। তাই রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা কিছু নিয়ম-কানুন মানলে কিন্তু রান্নাঘর ঠান্ডা থাকবে। রান্না ঘরের চারপাশে গাছ লাগাতে হবে। যা অভ্যন্তরীণ আবহাওয়াকে আরও বেশি ঠান্ডা করে দেয় গাছের কারণে ঘরের বাতাস থাকবে।

ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণে ঘর মুছুন পারলে দিনে ৩থেকে ৪ করে ঘর মুছতে হবে।ঘর মোছার আগে জানালা দরজা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন এতে বেশ কিছু সময় ধরে ঘর ঠান্ডা থাকবে। জানালাতে অবশ্যই ভারি পর্দা ব্যবহার করুন।


যদি পারেন তাহলে রান্নাঘরে এডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এডজাস্ট ফ্যান যদি থাকে তাহলে গরম বাতাস দ্রুত বাইরে বের করে দিবে। তাই পারলে রান্নাঘরে এডজাস্ট ফ্যান সেট করুন তাতে রান্না ঘরে গরম কম লাগবে।

শরীরে গরম কমানোর উপায়

এই গরমের সময় কিন্তু শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তাই আমরা সবাই কিন্তু জানতে চাই শরীরে গরম কমানোর উপায় অতিরিক্ত গরম পরলে কিভাবে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। এই গরমে শরীর গরম হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই আমরা শরীরের গরম কমানোর উপায় জানব। শরীরের গরম কমানোর জন্য আপনারা যে কাজগুলি করতে পারেন।

পানি পান : এই গরমে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে তৃষ্ণা পায়।এই গরমে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এর ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে এবং আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। শরীরের ওজন কমানোর জন্য কিন্তু কোনভাবে সোডা যুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় খাওয়া যাবেনা।

পানি জাতীয় ফল : এই গরমে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা ফল খেতে হবে। কারন ফল খাওয়ার ফলে কিন্তু আপনার ওজন কম হবে এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। যেসব ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী সেগুলা হল শসা, তরমুজ ইত্যাদি পানি জাতীয় ফল খেতে হবে।এর ফলে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি হবে না।

খাবারের সর্তকতা : প্রচন্ড গরম পড়ার কারণে অনেকখাবার খাওয়া যাবে না এর মধ্যে মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা কারণ এটা শরীরে আরো বেশি ক্ষতি হয়। রসুন পেঁয়াজ কম ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে মৌরি, পুদিনা, জিরা, ধনে দিয়ে খাবার তৈরি করতে হবে। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে খাবার হজম করবে।

নিয়ম মেনে চলুন : আমরা অনেকেই ওজন কমাতে চাই আর ওজন কমাতে হলে খাওয়া দেওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে আমরা ফ্যাট যুক্ত খাবার, মসলাযুক্ত খাবার, বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। একটানা এক মাস বা দুই মাস ঠিক মতো খাবার খান দেখবেন আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল থেকে আপনাদের জন্য খুব সহজে গরম থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখা উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম।

যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। সবার সুস্থ কামনা করে আজকের আর্টিকেল কি এই পর্যন্তই। আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url