শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে শবে কদরের ফজিলত ও আমল
প্রিয় পাঠক আপনি একজন মুসলমান হিসেবে আপনার অবশ্যই দায়িত্ব আছে শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে তা জানা। ২৭ তম রজনীতে শবে কদর ফজিলত বেশি পাওয়া যায়। রমজানের শেষ দশ ববিজোড় রাতের মধ্যে শবে কদর রাতকে নির্ধারিত করা সবচাইতে আমল ও ফজিলতের রাত বলা হয় মুসলমানদের জন্য। শবে কদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদর কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছিল।
পোষ্টসূচিপত্ররমজান মাসের মধ্যে সবচাইতে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র রাত বলা হয় লাইলাতুল কদর কে।আজ আপনাদের সঙ্গে শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে শবে কদরের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি মুসলমান হয়ে যদি না জেনে থাকেন শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে হবে এবং এর ফজিলত ও আমল সম্পর্কে তাহলে এখনি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে
নের এ পবিত্র রাত লাইলাতুল কদরের মুসলমান ইবাদতের সঙ্গে পালন করে। রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাযিলের মাস শবে কদর কোরআন নাজিল করার রাত।
আমরা মুসলমানেরা সারা বছর যে পাপ করে থাকি এই পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার রাত। আল্লাহর নিকটে যদি রাত জেগে ইবাদত করা হয় তাহলে এমনভাবে পূর্ণতা লাভ করে যেন নিষ্পাপ হয়ে যায়। তাহলে প্রতিটি মুসলমানদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার কত ২০২৪ কত তারিখে শবে কদর হচ্ছে।
কারণ এই শবে কদর রাতে ইবাদত করে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হতে পারবেন। অন্যান্য রাতের চেয়ে শবে কদর রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতের থেকে শবে কদর রাতে অনুসরণ করতে হয়। তবে বলা যায় না যে নির্দিষ্ট ভাবেই যে কোন বেজোড় রাতে শবে কদর রাত হবে। প্রতিবছরে একই তারিখে যে শবে কদর হবে তাও ঠিক বলা যায় না । রমজানের শেষ দশকে ১০ দিনে যেকোন বেজোড় রাতে শবে কদর রাত হতে হবে।
২০২৪ লাইলাতুল কদর কবে
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর কবে হবে তা নির্দিষ্ট বলা যায় না। লাইলাতুল কদর হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে ২৭ তম রজনীতে। ২৫ তম রজনীতে মনে করা হয় কদরেে রাতে বিবেচনাঅ দ্বিতীয় সম্ভাবনা রাত। তৃতীয় রজনী হিসেবে ২৯ তারিখে, চতুর্থ রজনী হিসেবে ২১ তারিখে, পঞ্চম রজনী হিসেবে ২৩ তারিখে, মনে করা হয়। এ রাতগুলো মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত।
- লাইলাতুল কদরে যে ব্যক্তি পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
- যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়বেন আল্লাহতালার কাছে তার গুনা মাফ চাইলে আল্লাহ তাআলা তাকে মাফ করে দিবে।
- আপনি মুসলমান হিসেবে অবশ্যই রমজান মাসে এই লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহর নিকটে ইবাদত বন্দেগী হয়ে থাকতে হবে।
- প্রত্যেকটি মুসলমানদের নামাজ ও ইবাদতে আল্লাহ তায়ালার বন্দিগির মাধ্যমে এই লাইলাতুল কদরের রাত্রি কাটাতে হবে।
শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের আমল
রমজান মাসের সবচাইতে বড় ইবাদত ও বন্দী রাত হলো লাইলাতুল কদর। আমাদের প্রত্যেকটা মুসলমান নর-নারীর জন্য এই রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা অনেক মুসলমান আছি শবে কদরের আমল সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য চলুন জানা যাক লাইলাতুল কদরের আমল গুলো কি কি জেনে নিন।
১. নফল নামাজ আদায় করা।
২. দুই রাকাত নামাজ পড়া মসজিদে প্রবেশ করে।
৩. আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।
৪. তারাবির নামাজ পড়া।
৫. শেষ রাতে সেহেরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
৬. সালাতুত তাসবিহ পড়া।
৭. সালাতুল হাজাত পড়া।
৮. অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।
৯. বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
১০. সূরা কদর, সূরা দুখানা, সূরা মুয্যাম্মিল, সূরা ইয়াসিন, সূরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সূরা কুরাইশ, এবং চার কুল পড়া।
১১. বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়া।
১২. তাওবাহ ও আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা।
১৩. জিকির করা।
১৪. দান সদকা করা।
শবে কদরের রাতের ফজিলত
পবিত্র আল-কুরআন নাজিল হওয়ার কারণে অন্যান্য মাসের চেয়ে সবচেয়ে ফজিলত বরকত পূর্ণ মাস হলো রমজান মাস। রমজান মাসে রাত গুলোর মধ্যে কোরআন নাযিল হয় লাইলাতুল কদরের রাতে। এই রাতে জিব্রাইল ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে এ বিষয় নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি এখন এ বিষয়ে নিয়ে আপনাদের আর কোন দ্বিধাদ্বন্দ নেই। শবে কদরের ফজিলত সমূহ গুলো।
- আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন রমজান মাস লাইলাতুল কদরের মানুষের শান্তির বার্তা কোরআন নাজিল হয়েছিল।
- খুবই বরকতপূর্ণময় রাত।
- রমজানের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে ২১, ২৩,২৫,২৭ এবং ২৯ তম রাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত।
- ঈমানের সাথে এই রাতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারবে।
- মহান আল্লাহতালা ক্ষমাশীল। তাই আমরা মুসলমান হয়ে যদি আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চায় তাহলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবে রাতে।
- আল্লাহ তাআলা বলেন কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম কারণ এই রাতে আমি কোরআন নাজিল করেছি।
- তাবেয়ি মুজাহিদ (র.) বলেছেন, এ রাতের ইবাদত তেলাওয়াত, দুরুদ, কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাসে ইবাদত চেয়েও উত্তম।
- পবিত্র কোরআন নাজিল হওয়ার কারণ অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসে বেশি ফজিলত হয়েছে।
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
পড়ার নিয়ম :
ন্যূনতম ৮ রাকাত থেকে যত সম্ভব পরে যেতে পারে। দুই রাকাত নফল পড়ছি এই নিয়েতে নামাজ শুরু করতে হবে। সুরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যে কোন সূরা মিলে পড়লে চলবে । তবে সুরা ফাতেহার সঙ্গে সূরা কদর ৩৩ বার।
যদি আপনি সূরা কদর না পারেন তাহলে ৩৩ বার ইখলাস দিবেন। এছাড়াও সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ নামাজ ও আপনি পড়তে পারেন। সেহেরির আগে কমপক্ষে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। কারণ নামাজের সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামাজ । এ রাতে দোয়া কবুল হয়।
জিকির ও দোয়া :
শবে কদর রাত মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত।আল্লাহ তায়ালার জিকির ও দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল করেন। বেশি বেশি করে আস্তাগফির ও দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা আস্তাগফিরাও দরুদ শরীফ পছন্দ করেন। কমপক্ষে ১০০ বার আস্তাগফিলা ও ১০০ বার দুরুদ শরীফ পড়বেন।
মোনাজাত :
মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। জীবনে ফেলে আসা দিনগুলোতে আল্লাহর কতগুলো হুকুম অমান্য করেছেন আল্লাহর ফরজ ওয়াজিবগুলো কতটা পালন করেছেন কতটা নিষ্ঠার সাথে করেছেন কি কি বড় বড় গুনাহ করে ফেলেছেন আল্লাহ গোলাম হিসেবে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।
মোনাজাত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন রহমত চাইবেন জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবেন। লাইলাতুল কদরের দোয়ার দরজা ও রহমতের দরজা খুলে রয়েছে। তাই মোনাজাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
শেষ কথা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠ বছরের সবচাইতে বরকতপূর্ণ মাস রমজান মাস। মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাস। তবে শবে কদর ২০২৪ কত তারিখে -শবে কদরের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আপনি যখন অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেন তখন আল্লাহতালা পক্ষ হতে রহমত বর্ষিত হবে।
আজকের আর্টিকেলটি শবে কদর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আপনি শবে কদর বালা লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল সহকারে পড়ে নিন। আর আমাদের ওয়েবসাইটটা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটা ফলো করে দিবেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url