শাবান মাসে ইবাদত ও ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

শাবান মাসের ইবাদত ফজিলত সম্পর্কে কি আপনি পরিপূর্ণ ধারণা পেতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য। আজকে আপনাদের সাথে শাবান মাসের ইবাদত ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোষ্ট সূচিপত্রশাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নিন। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অষ্টম চন্দ্রবর্ষের মাস হলো শাবান। বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলত মাস শাবান। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের দেড় বছর পরে পুরাতন কিবলা ফিলিস্তানের মসজিদুল "বাইতুল মুকাদ্দাস"এর পরিবর্তে মক্কা শরীফের মসজিদুল হারাম তথ্য খানায় কাবা বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ কিবলা হিসেবে ঘোষিত এর নির্ধারিত হয় এই শাবান মাসে। শাবান মাসে পূর্ণ নাম হলো " আশ শাবানুল মুআজজম"অর্থ হল মহান শাবান মাস ।

আমাদের মুসলমানদের মধ্যে শাবান মাসে ইবাদাতে বিবরণ সম্বন্ধে জানার আগ্রহ সবার মাঝে রয়েছে। আরবি বছরের অষ্টম মাসকে শাবান মাস বলা হয়। আরবি ১২ মাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের মাস। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)শাবান মাসে একাধারেও অধিক রোজা রাখতেন।

আবার কখনো লক্ষ্য করা যায় যে একাধারে তিনি রোজা রাখছেন না। অনেকেই আলোচনা করতেন তিনি আর রোজা রাখবে না। কিন্তু রমজান মাস ছাড়া কখনো পূর্ণ মাসের রোজা রাখতে হয় না। তাই শাবান মাসেও হতো অধিক সংখ্যার রোজা করছেন তেমন অনেক মাস দেখেন দেখিনি।

শাবান মাসের গুরুত্ব ফজিলতের ইবাদত সম্পর্কে বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে। শাবান মাসের ফজিলত ও ইবাদত গুরুত্ব এতো যে শবে বরাতের রাতকে মাগফিরাতের রাতেও বলা হয়। শবে বরাতের গোসল করে শরীরে ছিটকানি প্রতি পানি ফোটা পরিবর্তে তার আমলনামায় আল্লাহ পাক ৭০০ রাকাত নামাজের সওয়াব দান করবেন।

আমরা মুসলমান হয়ে কি কখনো ভেবে দেখেছিস শাবান মাসের অর্থ কি? শাবান মাসের ইবাদুল ফজিলত সম্পর্কে আমরা সবাই প্রায় জানি কিন্তু শাবান মাসের অর্থ কি সম্পর্কে আমরা প্রায় মানুষ জানি না। চলুন জানা যাক শাবান মাসের অর্থ কি। শাবান শব্দের অর্থ বিস্তৃত হওয়া বিচ্ছেদ ঘটা, সরে দেওয়া। রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাসটিকে বলা হয় শাবান মাস।

আমাদের প্রিয় নবীও হযরত মুহাম্মদ (সা) শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন। শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য মাসে অধিক রোজা রাখতে দেখা যায়নি। এর কারণ ছিল শাবান মাস রজব ও রমজানের মাঝখানে ফজিলতের মাস।

অথচ লোকেরা এ মাসে ব্যাপক উদাসীন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে এই মাসে রোজা রেখে যা চাওয়া হয় তিনি তাই পূরণ করেন।

শাবান মাসে বিয়ে করা যাবে কি না এই সম্বন্ধে ইসলাম কি বলেছে আপনারা কি জানেন? চলুন জানা যাক শাবান মাসে বিয়ে করা যাবে কিনা। আরবি ১২ টি মাসে কোন না কোন মাসে ইবাদত ফজিলতের মাস। এখন পর্যন্ত কুরআনে এমন কোন আয়াত খুঁজে পাওয়া যায়নি যে কোন মাসে ইসলামিক মাসে বিয়ে সীমাবদ্ধ করেছে।

তাই আরবীর ১২ মাসে যে কোন তারই বা যেকোনো বারে বিয়ে করতে পারবেন। তবে ইসলাম ধর্মে শুক্র বার টাকে একটি সুন্দর দিন বলে ধরা হয়।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল শাবান মাসে ইবাদত ও ফজিলত সম্পর্কে। শাবান মাস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে। তাই শাবান মাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকার করুন।

যদি আজকে আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। নতুন নতুন তথ্য পেতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। আল্লাহাফেজ।