রোজা খোলার দোয়া ইফতারের দোয়া রোজা রাখার নিয়ত


প্রিয় পাঠক আপনি কি রোজা খোলার দোয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আজকে আর্টিকেলটা আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলটা রোজা খোলার দোয়া, ইফতারের দোয়া, এবং রোজা খোলার দোয়া বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই রোজা খোলার দোয়, ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।



রোজা খোলার দোয়া - ইফতারের দোয়া - রোজা রাখার নিয়ত


পোষ্ট সূচিপত্রনিচে আপনাদের জন্য রোজা খোলার দোয়া,,রোজা ইফতারের দোয়া ও রোজা রাখার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দেরি না করে রোজা খোলার দোয়া সম্পর্কে জেনে নিন।

ভূমিকা

রমজান মাসে আমাদের মুসলমান নর নারী ওর উপরে রোজা ফরজ করে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলার বিধান পালন করার জন্য প্রতিটি মুসলমান রোজা পালন করে। কিন্তু অনেক মুসলমান আছে রোজা খোলার দোয়া, ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

রোজা খোলার নিয়ত

রমজানের রোজা ফরজ। আর প্রতিটি মুসলমানের জন্য রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে।রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করা হয়। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশা করে রমজান মাসে রোজা রাখে আল্লাহ তাআলা তাকে গুনাহ মাফ করে দিবেন। ( বুখারী হাদিস :১৯০১।

রোজা রাখার দুইটি নিয়ত রয়েছে। একটি হলো রোজা রাখার নিয়ত অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার সময় যে নিয়ত করা হয়। আরেকটি নিয়ত হচ্ছে রোজা খোলার নিয়ত অর্থাৎ ইফতারির এর নিয়ত। আমরা অনেক মুসলমান আছি কিন্তু এই দুইটি নিয়ত সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না।


আপনি যদি না জেনে থাকেন এই দুইটি নিয়ত সম্পর্কে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চলুন তাহলে রোজা খোলার নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নিন।

উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিজক্কিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন।
এই দোয়াটি হচ্ছে রোজা খোলার দোয়া। আশা করি আপনারা রোজা খোলার দোয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ইফতারের দোয়া

ইফতারের দোয়া উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু আলা রিজক্কিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন।এই দোয়াটি হচ্ছে রোজা খোলার নিয়ত বা ইফতারের দোয়া ইফতারের সময় এই দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তাড়াতাড়ি কবুল করেন।

ইফতারে পরের দোয়া

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন।

উচ্চারণ :জাহাবাজ জামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ'রুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাল্লাহ।

অর্থ :পিপাসা দূর হলো শিরা উপশিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সওয়াবো স্থির হলো।

রোজার নিয়ত বাংলায় উচ্চারণ :

রোজা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। রমজান মাসের রোজা ফরজ। কিন্তু আমরা অনেক মুসলমান আছি যে রোজা রাখার নিয়ত সম্পর্কে জানিন। তাই আজ আপনাদের জন্য বাংলায় রোজা রাখা নিয়ত পরকে আলোচনা করব।

রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ :নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম , মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক, ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম ।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ নিয়ত করলাম। তুমি আমার পক্ষ থেকে ( আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করে নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্ব জ্ঞানী।

সেহরি খাওয়া কি সুন্নত

সেহরি খাওয়া কি সুন্নত? আমরা অনেক মুসলমান আছি যে সেহেরি খাওয়া কি সুন্নত? এ বিষয় সম্পর্কে জানিনা। তাই আজ আপনাদের সঙ্গে সেহরি খাওয়া কি সুন্নত এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রমজান মাস আমাদের মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলার ই বলতে বেশি বেশি পালন করে থাকি।

 রমজান মাসে অনেকগুলো ইবাদত রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম ইবাদত হলো সেহরি খাওয়া। আপনাদের সঙ্গে আজকে আলোচনা করা হয়েছে সেহেরি খাওয়া কি সুন্নত? আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)এরশাদ করেছেন যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। রমজান মাসে ফজরের আজানের আগে সেহরি খেয়ে নিতেন। তাই প্রতিটি মুসলমানদের জন্য সেহরি খাওয়ার সুন্নত।

সেহরি খাওয়ার হুকুম

আমরা অনেক মুসলমান মনে করে থাকি যে সেহেরি খাওয়া জরুরী নয়। আবার অনেক মুসলমান মনে করে থাকি যে সেহরি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এই দ্বিধাদান্ত রয়েছে অনেকের মাঝে তার জন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। পবিত্র রমজান মাসে সেহরি খাওয়ার হুকুম কি? বিস্তারিত বিষয় জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

রোজা রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার গ্রহণ করা সুন্নত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)যে ভাবে কাজ করেছেন সে ভাবে আমরা প্রতিটি মুসলমান কাজ করলে সুন্নত পালন করা হবে। পবিত্র রমজান মাসের সে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষ অংশে কিছু খায় তাহলে তার সুন্নত পালন করা সওয়াব অর্জন করা হবে।

 আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)আরো বলেছেন যে তোমরা সেহেরি খাও, কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে। বরকত পূর্ণ কাজের মধ্যে সেহরি খাওয়া একটি অন্যতম কাজ। তোমরা খাওয়া থেকে বিরতি থেকো না যত সম্ভব হোক একদম পানি খেয়ে হলেও সেহরি খাও। সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে আল্লাহতালার উপর রহমত বর্ষণ করেন। যে ব্যক্তি সেহরি খায় তার জন্য ফেরেশতারা রহমতে দোয়া পড়তে থাকে।

শেষ মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে রোজা রাখার দোয়া ইফতারের দোয়া ও রোজা রাখার নিয়ত সম্পর্কে। আপনারা হয়তো এখন পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যারা না জানেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েনি।

আর জেনে নিন রোজা রাখার দোয়ায়, ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার নিয়ত সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর নতুন নতুন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টা প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। আল্লাহাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url