খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক খুব অতি পরিচিত একটি ফল যার নাম খেজুর ফল। বর্তমানের খেজুর ফলে চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। কারন খেজুর পরে প্রচুর প্রহরী মানুষ পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে। তবে হ্যাঁ আজ খেজুর ফলের উপকারিতা বা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনাদের সাথে।
খেজুরের উপকারিতা
স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ফল খেজুর। আল্লাহ পাকের এক বড় নিয়ামত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)খেজুর খেতেন। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি। খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলো
ওজন কমায়:
আজকে আমরা যে ফলটি কে নিয়ে আমরা আলোচনা করছি এর ফলটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ফল। কবি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য। আপনি যদি খুব মোটা হন তাহলে প্রতিনিয়ত একটি দুইটা করে সকালে খেজুর খাবেন দেখবেন আপনার ওজন কমতে শুরু করছে।
গর্ভবতী মহিলার জন্য :
গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাবে ভুগে।আর খেজুরে আছে পর্যাপ্ত পরিমাপ আয়রন যা গর্ভবতী মহিলাদের আয়রনের অভাব দূর করে। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় উপাদান। খেজুর গর্ভবতী মহিলার জন্য বেশ উপকারী একটি ফল। তাই গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুইটি করে খেজুর খাওয়া দরকার।
বদহজম দূর করে :
খেজুরের প্রচুর ফাইবার রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুইটা করে খেজুর খান তাহলে আপনি বদ হজম অতি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :
সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল খেজুর। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কাজে খেজুর অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে খেজুর।খেজুর চিনির বিকল্প হিসাবে কাজ করে ।
হাড়ের সুরক্ষায় :
খেজুর আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। হাড় গঠনের সহায়ক করে ক্যালসিয়াম। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামে থাকার কারণে হাড় মজবুত করে।
ত্বকের যত্নে :
ত্বকের জন্য খেজুর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। আমাদের বয়সের ছাপ ধরা পড়ে ত্বকে। আপনি প্রতিনিয়ত খেজুর খাওয়া অভ্যাসে ত্বকের শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাই। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা থেকে খেজুর মুক্তি দেয়।ত্বকের ফ্যাকাশে ও হরমোন সমস্যা কমাতে খেজুর কার্যকর।
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা নিয়ে বলে শেষ হবার না। তবে আজকে আপনাদের সঙ্গে আরও একটি নতুন খেজুর নিয়ে খেজুরের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। আজওয়া খেজুর দেখতে কালো আকারের ছোট ছোট জামার মতো।আজওয়া খেজুর খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই এর দামও বেশি। চলুন জানা যাক আজ ওয়াকি জুড়ে উপকারিতা সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল।
- আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)ইরশাদ করেছেন। যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খায়। সেইদিন তাকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।
মধু ও খেজুরের উপকারিতা
মধু ও খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীর-মন ও স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে মধু খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। মধু খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হল।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- পানি শূন্যতা রোধ করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- ওজন কমায়।
- স্নায়ু শক্তি বৃদ্ধি করে।
- হাঁপানি শ্বাসকষ্ট নিরাময় করে ।
- শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
- দাঁত ও হাড় মজবুত করে।
- শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
কাঁচা খেজুরের উপকারিতা
খেজুর আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল। আমাদের শরীরের জন্য যেমন পাকা খেজুরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বেশি তেমনি পাশাপাশি কাঁচা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অনেক বেশি। কাঁচা খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন। চলুন জানা যাক কাঁচা খেজুরে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
- বদহজম দূর করে
- পেট ফোলা দূর করে।
- গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে।
- রক্তশূন্যতা দূর করে।
- স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় ।
- দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
দুধ ও খেজুরের উপকারিতা
দুধ ও খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উপাদান। দুধ ও খেজুরে রয়েছে আয়রন প্রচুর। দুধ ও খেজুর আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক করে। চলুন জানা যাক দুধ ও খেজুরের উপকারিতা গুলো কি কি।
- শরীরে দূর্বলতা কারণে আমরা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধের সাথে পাঁচটি খেজুর ভিজিয়ে রাখে খেলে শরীরে অনেক শক্তি বৃদ্ধি হয়।
- খাবার খাওয়ার পরে আমাদের হজমের সমস্যা দেখা যায় অনেক সময়। আপনারা যদি প্রতিনিয়ত দুটো খেজুর খান তাহলে হজম ক্রিয়া সাহায্য করবে।
- খেজুরের অপকারিতা
- খেজুরে অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খেজুর গ্রহণ সতর্ক হওয়া উচিত। তবে খেজুরের অপকারিতা নেই বললেই চলে কারণ খেজুরে কোন ক্ষতি নেই। তবে কোন খাবারে শরীরের জন্য অতিরিক্ত ভালো নয়।
- যাদের ডায়াবেটিস তারা অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত খেজুর খেলে ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
আমরা সবাই কমবেশি খেজুর খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম। আজ আপনাদের সঙ্গে খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করলাম।
- দুধ ও খেজুর মিশে যেতে পারেন
- স্বাস্থ্যের জন্য ভিজা খেজুর বেশি খাওয়া উপকারী।
- দুধু খেজুর মিশে খেতে পারেন।
- মধু ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- জিমে যাওয়ার আধাঘন্টা আগে খেজুর খেতে পারেন।
শেষ মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনাদের সঙ্গে আজকে খেজুরের উপকারীতা ও অপকারী সম্পর্কে এবং খাওয়ার নিয়ম সংখ্যা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা যারা এখনো খেজুরের উপকারীতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটা মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
যদি আপনাদের আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url