রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি জেনে নিন


প্রিয় পাঠক মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস-পবিত্র মাহে রমজান। প্রতিটি মুসলমানদের জন্য রোজা পালন করা ফরজ। রোজা নিয়ত করার পরে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে এমন কিছু যেন না হয় যার ফলে সারাদিনে রোজাটা যেন ভঙ্গ হয়ে না যায়। তাই আজ আপনাদের সঙ্গে রোজা ভঙ্গ কারণ সমূহ কি কি এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি জেনে নিন

পোষ্ট সূচিপত্রতাই আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য জেনে নিন রোজা ভঙ্গ কারণ সমূহ কি কি? তাই আজ আমি আপনাদের জানাতে চাচ্ছি যে রোজা ভঙ্গের কারণনসমূহ কি কি সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য ।আজকের এ আর্টিকেলে মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সম্পর্কের সকল তথ্য। রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা :রোজা ভঙ্গে কারণ সমূহ কি 
প্রত্যেকটি মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজান মাসে প্রাণপ্রিয় সকল মুসলমানগণ রোজা রাখে। তবে আপনি রোজা রাখলেই হবে না রোজা রাখার পাশাপাশি আমাদের রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এই সম্পর্কে জেনে থাকতে হবে।

কেননা এই সম্পর্কে না জানা থাকলে আপনি ভুল করে এমন একটি কাজ করে ফেলতে পারেন যার ফলে আপনার রোজাটা ভেঙ্গে যেতে পারে। আর এই কারণেই রোজা ভঙ্গর কারণ সমূহ কি কি জেনে থাকা আপনার অত্যন্ত জরুরী। আপনি মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আপনার জেনে থাকার দরকার রোজা ভাঙ্গার কারণ সমূহ কি কি।

তাহলে আর দেরি না করেন চলুন তাহলে জানা যাক রোজা ভঙ্গের এর কারণসমূহ কি সম্পর্কিত সকল তথ্য। রোজাদার ব্যক্তিদের অবশ্যই জেনে থাকা জরুরী রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি। তাহলে জানা যাক রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি তা জেনে আসি।


পানি যদি ভুলবশতই খাবার খেয়ে ফেলেন বা পান করেন তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না । কিন্তু রোজাদার ব্যক্তি ভুল করে খাবার বা পানি পান করে ফেলে এবং পরবর্তীতে রোজা ভেঙে গেছে বলে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে পানি বা খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  • আপনি যদি কোন কিছু খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
  • আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থাতেই স্ত্রীর সঙ্গে ভুল করে সহবাস করে ফেলেন তাহলে আপনার রোজা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করেন তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে ।
  • আপনি যদি কান বা নাকের ছিদ্র দিয়ে ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। 
  • আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন খারাপ কথা বলেন তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। 
  • রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হয় তাহলে সে ব্যক্তি রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • রোজা থাকা অবস্থায় অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে যদি না পারেন তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। 

রোজা মাকরুহ হলে করণীয়

আজকের আর্টিকেলে মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি। মুসলমান রোজা থাকা অবস্থায় এমন এমন কাজ আছে সেগুলো করলে রোজা ভেঙে যায়। তাই আমাদের প্রতিটি মুসলমানদের উচিত কিছু বিধি-বিধান রয়েছে সেগুলো মেনে চলা অত্যন্ত আমাদের জন্য জরুরি ।

কিছু ছোটখাটো কারণ রয়েছে যে কারণে ফলে একজন রোজাদার ব্যক্তি রোজা মাকরুহ হয়ে যেতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব রোজা মাকরূহ হলে করনীয় কি কি এ সম্পর্কে ।

  • রোজা থাকা অবস্থায় মিথ্যা কথা বলা যাবে না। মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকুন।
  • রোজা থাকা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • রোজা থাকা অবস্থায় কারো গীবত করা যাবে না। ঝরগা বিবাদ মারামারি ফাসাত থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • রোজা থাকা অবস্থায় সিনেমা দেখা যাবে না। 
  • রোজা থাকা অবস্থায় শরীর পাক থাকতে হবে। যদি আপনার শরীরের পাক না থাকে তাহলে রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে।
  • আপনি রোজা থাকা অবস্থায় যদি মুখে লালা যদি সাধারন ভাবে পেটে চলে যায় তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে লালা মুখে ধরে রেখে কিছুক্ষণ পর গিলে ফেলেন তাহলে আপনার রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে।

রোজা ভঙ্গের কারণ রক্ত

মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ পবিত্র মাহে রমজানের প্রতিটি মুসলমান সিয়াম পালন করেন। আজকের আটিকের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রোজা ভাঙ্গার কারণ সমূহ কি কি কিন্তু রোজা ভঙ্গের কারণ রক্ত কি না এই সম্পর্কে জেনে থাকাও দরকার। আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে রোজা ভঙ্গের কারণ রক্ত কি না। চলুন জানা যাক রোজা ভঙ্গের কারণ রক্ত কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আমরা অনেকেই মনে মনে প্রশ্ন করে থাকি, রোজা থাকা অবস্থায় রক্ত বের হলে রক্ত কাউকে রক্ত দান করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে কি না। মানুষের পাকস্থলী থেকে মস্তিতে যদি সরাসরি কোন মেডিসিন প্রবেশ করে বা খাদ্য প্রবেশ করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

কিন্তু একজন রোজাদার ব্যক্তি রোজা থাকা অবস্থায় কাউকে রক্ত দান করলে বা রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে না। কারণ পাকস্থলীতে মস্তিতে সরাসরি কোন মেডিসিন বা খাবার প্রবেশ করছে না। আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় কাউকে রক্ত দান করে থাকেন তাহলে আপনার রোজা নষ্ট হবে না।


পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস । প্রত্যেকটা মুসলমানের জন্য রোজা ফরজ। বিশ্বের সকল মুসলিম বিশ্বাস করেন যে এই মাসে আল্লাহ তাআলার ভয়ে পবিত্র সিয়াম পালন করে। আমরা প্রত্যেকটা মুসলমান সারাদিন না খেয়ে আল্লাহতালা খুশি করার জন্য রোজা রাখি।

কিন্তু আমরা সারাদিন রোজা রাখি কিন্তু কি কি কারণ রোজা ভেঙ্গে যায় এই সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাই আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য কি কারনে রোজা ভেঙে যায় সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজ আমি। চলুন দেরি না করে জানার যাক রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ সমূহ কি কি।

  • রোজা থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার খাওয়া যাবেনা তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। 
  • রোজা থাকা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়লে সে ব্যক্তি রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  • রোজা থাকা অবস্থায় শরীরে কোন ইনজেকশন পুশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  • রোজা থাকা অবস্থা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় না করলে রোজা ভেঙে যাবে।

শেষ কথা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ করেছেন। আর রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সম্পর্কিত সকল তথ্য বুঝতে পেরেছেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটা প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। পরবর্তী আর্টিকেলে নিয়ে  হচ্ছে আপনাদের সাথে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url