কালোজিরা ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসা তো কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। কালোজিরা রয়েছে ফসফেট, আয়রন, এবং ফসফায়ার যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
বাতের ব্যথা দূরীকরণে
এক চা -চামচ কাঁচা হলুদ রসের সাথে কালোজিরা তেল মধু ভালোভাবে মিশিয়ে।আক্রান্ত ব্যথা স্থানে প্রতিদিন ২/৩ বার লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফল পাবেন দেখবেন আপনার ব্যথা কমে গেছে ।
বিভিন্ন প্রকার চর্ম রোগের সারাতে
এক চা- চামচ কালোজিরা তেলের সাথে কিছু পরিমাণ মধুর নিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আক্রান্ত স্থানটি ভালোভাবে দিয়ে নিন। তারপরে আপনার তো স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখেন। এইভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করলে দেখবেন আপনি তা খুব তাড়াতাড়ি ফল পেয়ে গেছেন।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে
বর্তমানে মানুষ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছে। যারা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে ভুগছে তাদের জন্য কালোজিরা খুব উপকারি।হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য প্রতিদিন কালোজিরা ভর্তা খেতে হবে। এক চা চামচ কালোজিরা তেলের সাথে এক কাপ দুই বা রং চায়ের সাথে প্রতিদিন তিনবার করে সেব্য।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কালোজিরা কাজে লাগে।ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে পান করতে হবে । তাহলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারলোজিরার তেল ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে দৈনিক দুইবার করে নিয়মিত সেব্য।
হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে
সবচেয়ে কালোজিরা উপকারী হার্টের রোগীদের জন্য।আপনি যদি হার্টের রোগে ভুগেন তাহলে অবশ্যই কালোজিরা এক কাপ তেল দুধের সঙ্গে দুইবার করে খেতে পারেন। বা আপনি যদি হার্টের রোগে ভুগছেন তাহলে কালোজিরা। তেল প্রতিদিন মালিশ করতে পারেন আপনার বুকে ।৪ থেকে ৫সপ্তাহ সেবন কর।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে
রসুন ও কাল্যজিরা তেল খুবই উপকারী যাদের ব্লাড প্রেসার আছে কাজের জন্য। আপনি যদি ব্লাডপ্রেসারে হবেন তাহলে প্রতিদিন সকালে দুইটি করে রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেতে পারেন। এবার রোদে আধাঘণ্টার মতো বসে থাকতে হবে। এভাবে দুই থেকে চার দিন সেবন করলে ব্লাড প্রেসার রোগীদের দেখবেন খুব নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।
মাথাব্যথা নিরাময়ে
আমরা মাথা ব্যাথা নিয়ে সবাই ভুগি। কিন্তু মাথা ব্যথার ওষুধ যে কালোজিরা তেল হবে এটা তো আমরা আগে জানতাম না। আজ থেকে জানতে পারেন মাথাব্যথার ওষুধ যে কালোজিরাত তেলে।ব্যথা স্থানে কালোজিরার তেল দিয়ে ভালোভাবে মালিশ করে নিন। কিছুক্ষণ মাথায় রেখে দেন। দেখবেন মাথা ব্যথা সেরে গেছে।
সর্দি সারাতে
এক চা চামচ কালোজিরা তেলে সপরিমাপ মধু মিশিয়ে দৈনিক তিনবার সেব্য করুন।মাথা ও ঘাড়ের রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে থাকবেন। কালোজিয়া তেলের সঙ্গে তিন চামচ মধু ও দুই তুলসির পাতার রস দুই চামচের সাথে রসুন মিশিয়ে খেলে আপনার সর্দি-কাশি গলা ব্যথা জ্বর দূর হবে।
ত্বকের তরুণ্য ধরে রাখে
ত্বকের গঠন উন্নতি ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিনোলেইক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাট এসিড থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মধু কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখেন আধাঘন্টা বা এক ঘন্টা।
তারপরে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে দেখবেন আপনার তো অনেক উজ্জ্বল হয়ে গেছে আগের চেয়ে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অবশ্যই কালোজিরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করুন।আপনারা যারা ত্বকে ব্রণ নিয়ে ভাবছেন তাদের জন্য খুবই উপকারে কালোজিরা তেল।
কারণ কালোজিরা তেলের সঙ্গে যদি আপনি আপেলের সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার ফটো স্থান লাগিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি ব্রণ দূর হয়ে যাবে ।
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন রকম সমস্যার জন্য সবচাইতে ভালো ওষুধ কালোজিরা তেল। এক গ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা চামচ কালোজিরা তেল দিনে তিনবার করে পান করুন। ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।
শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরা
কিশোরের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরা উপকারিতা অনেক বেশি। দুই বছর বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানো অভ্যাস করলে খুব দূরত্ব ও দৈহিক মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুদের মস্তিষ্কের সুস্থতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও।
মাথা ব্যাথা দূর করতে
মাথা ব্যথার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তেল কালোজিরা।আপনি মাথা ব্যথায় ভুগছেন তাহলে অবশ্যই কালোজিরা তেল মাথায় দিয়ে মালিশ করে রাখুন। কিছুক্ষণ মালিশ করার পরে দেখবেন আপনার মাথা ব্যথা খুব দ্রুত সেরে গেছে।
হজমের সমস্যায় দূরীকরণে
আপনি যদি হজম শক্তি সমস্যা ভুগছেন তাহলে অবশ্যই কালোজিরা খেতে হবে। হজমের সমস্যার জন্য দুই থেকে এক চামচ কালোজিরা বেটে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দুই-তিনবার খেলে আপনার এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে। আপনার যদি পেট ফাঁপা ভাব থাকে তাও সেরে যাবে।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
ফাস্ট ভালো রাখতে খুব উপকারী, মধু ও কালোজিরা। প্রতিদিন সকালে মধু ও কালোজিরা খেতে হবে। আর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বা মহামারী রোগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন মধু ও কালোজিরা খেতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে
বর্তমানে আমরা চুল পড়া সমস্যা তে ভুগছি বেশি। আর চুল পড়া বন্ধ করতে অবশ্যই আপনাকে কালোজিরা খেতে হবে। আপনি যদি কালোজিরা খেয়ে যান চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে।
দাঁত ব্যথা দূরীকরণে
দাঁত ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে যাবে। দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে যাই।
শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনে
আপনি যদি প্রতিনিয়ত ভালোভাবে ঘুমাতে না পারেন। আপনার ঘুম কিছুতে আসে না তাহলে অবশ্যই কালোজিরা তেল মাথায় মেসেজ করে দেখবেন খুব দ্রুত আপনার প্রশান্তি পণ্য নিদ্রা হচ্ছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা
কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। প্রতিদিন কালোজিরা খেলে প্রতিটি শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সতেজ থাকে । বিভিন্ন রোগের ওষুধ হল কালোজিরা। আপনি যদি প্রতিনিয়ত কালোজিরার তেল বা কালোজিরা ব্যবহার করেন দেখবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
চোখের ব্যাথা দূর করতে
রাতে ঘুমানোর আগের চোখের উপায় পাশে বা ভুরুতে কালোজিরা তেল দিয়ে মালিশ করুন। গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে কালোজিরা তেল ব্যবহার করে খুব দ্রুত উপকারিতা পেয়ে যাবেন ।
উচ্চ রক্তচাপ
আপনি যখন গরম পানি বা চা পান করবেন তখন অবশ্যই কোন না কোন ভাবে খাবেন কালোজিরা। প্রতিদিন গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা খাবেন। আপনার শরীরে রসুন ও কালোজিরা তেল মালিশ করুন। কালোজিরা তেল মাথায় মাথায় ব্যবহার করুন ।
দেহের সাধারণ উন্নতি
কালোজিরা ব্যবহার করলে আমাদের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এছাড়াও অরুচি, পেটে ব্যথার, ডায়রিয়া, জন্ডিস, জ্বর, শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা, দাঁতে ব্যাথা, চুল পড়া, পুরাতন মাথাব্যথা, মাইগ্রেশন ব্যথা , হাঁপানি শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, উচ্চ রক্তচাপ, টিউমার, ক্যান্সার, বাত ব্যথা, অনিদ্রা, ভাইরাস প্রতিরোধক, আলসার প্রতিরোধ, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চুল পড়া, সকল সকল রোগের নিরাময়ের ওষুধ কালোজিরা।
শেষ কথা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য কালোজিরা উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম। কালোজিরা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কালিজিরা সম্পর্কে তথ্য জানতে মন সহকারে পড়ুন আর্টিকেলটা।
আর আজকের আর্টিকেলটা পরে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।যদি আমাদের আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধুদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করবেন ।
আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটা প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url