ব্লগিং কি ? ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?
আমাদের কোন তথ্য জানতে অনলাইনে সার্চ দিলে হাজার হাজার তথ্য আমাদের সামনে চলে আসে। আপনারা লক্ষ্য করবেন যে তথ্যনির্ভর ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেক ব্লগ ওয়েবসাইট আছে। ফেসবুক বা youtube এর মাধ্যমে আমরা ব্লগ ব্লগার ব্লগিং নাম গুলো শুনে থাকি।
পোষ্ট সূচিপত্রএছাড়াও আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন, ব্লগিং কেন করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এসব বিষয় জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
ভূমিকা
ব্লক হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত পত্রিকা। ব্লগ শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ ওয়েবব্লগার। একটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত পোস্ট তৈরি করে প্রকাশ করার মাধ্যম। ব্লগ কে এক ধরনের ডায়েরি ও বলা যায়। তাই আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ব্লগ কি ব্লগিং কিভাবে করতে হয়।
ব্লগিং কি
ব্লকের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো weblog।১৯৭০ সালের একজন মার্কিন নাগরিক সর্বপ্রথম weblog শব্দটি ব্যবহার করেন।weblog শব্দটি ভেঙ্গে we এবং blogএই দুটি শব্দ নিয়ে বিভক্ত করে অর্থ দাঁড়ায় আমারা ব্লগ করি।ব্লগ এর বাংলা শব্দ অর্থ হলো ডায়েরি। আমরা একটি ডায়েরি যেভাবে ব্যবহার করি ব্লগ ঠিক সেই কাজই জন্য ব্যবহার করা হয়। সময়ের সাথে সাথে ব্লগের ধারণাও অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগের ব্লগ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে লেখালেখি করা যায়।ওয়েব সাইটে মাধ্যমে লেখালেখি করাকে বলা হয় ব্লগার।
ব্লগ লেখার যে প্রক্রিয়া তাকে যৌথভাবে ব্লগিং বলা হয়। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তি যুগের নির্ভর একটি অনেক জনপ্রিয় পেশা। যারা ব্লগ লেখে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। ব্লগিং-ই হলো একটি ডায়েরি যার মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতা পরামর্শ লেখা ছবি ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করে।
ব্লগিং কেন করবেন
দুই প্রকার উদ্দেশ্যে ব্লগিং করে থাকে। প্রথমত নিজের জ্ঞান সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দ্বিতীয়ত টাকা ইনকামের জন্য। ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার জন্য ব্লগ অনেক ভালো একটি সাইট। তাই এখন সবাই ব্লগ তৈরি করে টাকা ইনকামের জন্য। আয় করার ভালো একটি সাইট হল ব্লগ।ব্লগিং কেন করবেন তার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার নিচে করা হলো
আপনি যখন ব্লগ লিখবেন তখন অনলাইনে অনেক মানুষের সাথে পরিচিতি তৈরি হবে। দেখবেন গুগলে আপনার নাম লিখে সার্চ দিলে আপনার তথ্য সম্পূর্ণ পাওয়া যাবে। অনলাইন জগতে আপনাকে একটি ইউনিক বা পরিচিত তৈরি করতে সাহায্য করবে ব্লগিং।
আপনাকে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই আয় করতে হবে।আর করার বড় উপায় হলো ব্লগ লিখে।ব্লগিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার জন্য ব্লগ লিখতে পারেন।আপনার ব্লগ লেখার মাধ্যমে মানুষকে জানা-অজানা বিষয়ে জানাতে সাহায্য করতে পারেন। তাতে মানুষ অনেক উপকার হবে।আমরা কোন সমস্যায় পড়লে যদি পাশে কেউ না থাকে তাহলে সে সমস্যার সমাধানের জন্য গুগলে সার্চ করি।google তখন সমস্যা সমাধান করে দেয়।
ব্লগের মাধ্যমে আপনার চিন্তা চেতনার মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।ব্লগিং করার কারণে যেমন অন্যদিন নতুন তথ্য দিতে পারি তেমনি নিজের জানার জন্য ব্লগের সাহায্য নিতে পারি । কারণ পৃথিবীতে মানুষেের সবকিছুই জানা থাকে না।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন
ব্লগিং শুরু করা একটি সহজ বিষয়। তবে ব্লগ শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে মানতে হবে। নিচে দেওয়া হল।
- কি বিষয়ের উপরে ব্লগ লিখবেন?
- কাদের জন্য লিখবেন ব্লগ?
- ব্লক দিয়ে কি আয় করবেন?
- প্রি-প্লানিং
অবশ্য ব্লগিং করার সময় এই পয়েন্ট গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে না জানলে কখনো আপনি পড়া শুরু করতে পারবেন না।
ব্লাগ নাম নির্ধারণ করা
আপনাকে অবশ্যই ব্লগ তৈরি করার আগে প্রথমত আপনাকে একটি সুন্দর নাম নির্ধারণ করে নিতে হবে। কারণ আপনার ব্লগ এর ডোমেইন নেম হবে। ডোমেইন নাম দিয়ে আপনার ব্লগ টা ইন্টারনেটে পরিচিত হবে।
ডোমেইন হোস্টিং ক্রয়
আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম যেটি প্রয়োজন তা হলো ডোমেইন বা হোস্টিং। ডোমেইন বা হোস্টিং ছাড়া আপনি কখনো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না। ব্লগিং শুরু করার আগে অবশ্যই ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে।
ডোমেইন কিনার পরে অবশ্যই আপনার ব্লগ নাম ডোমেইন রেজিস্ট্রার করে নিতে হবে। এমন কোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং দিতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি
ওয়েবসাইট আপনি দুই রকম ভাবে তৈরি করতে পারবেন। ফ্রি এবং পেইড দুইভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তৈরি করা যায়। ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য গুগল blogger.com এটি সার্ভিস দিচ্ছে। আর ব্লগ তৈরি করার জন্য গুগলে blogger.com সার্ভিসটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে । একজন ব্লগার ওয়েবসাইট ছাড়া শূন্য রাজ্য নিয়ে বেঁচে থাকার মত।
ওয়েবসাইটের ডিজাইন
ব্লগ ওয়েবসাইট গুলো সাদামাঠা হয়।ব্লগের ভিজিটর আসে কনটেন্ট দেখার জন্য পড়ার জন্য আসে ওয়েবসাইটের ডিজাইন যদি হজযবরল হয় তাহলে কনটেন্ট দেখে ভিজিটরেরা শান্তি পাবে না। তাহলে ব্লগ তৈরি করে সফলতা আসবেনা। তাই ওয়েবসাইট ভালো একটি ডিজাইন দিয়ে শুরু করা উচিত।
সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট
ব্লগ ওয়েবসাইটে তৈরি করার পরে কিছু কনটেন্ট লিখে ব্লগ ওয়েবসাইট পাবলিশ করা। ওয়েবসাইট এ সার্চ ইঞ্জিনে গুগল এবং বিং এ ইনডেক্স করার জন্য সাবমিট করতে হবে। তাহলে অনলাইনে ব্যবহারকারীরা আপনার ব্লগ খুব সহজে খুঁজে পাবে গুগলে।
নিয়মিত ব্লগ আপডেট
আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ব্লগ আপডেট করতে হবে। নতুন নতুন কনটেন্ট লিখে ব্লগওয়েবসাইট আপডেট দিতে হবে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কনটেন্ট লিখে আপডেট করতে হবে এবং নতুন ব্লগ পাবলিশ করতে হবে।
এসইও করা
ব্লগে ভিজিটর আনতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে। যখন আপনি ব্লগ শুরু করবেন তখন আপনাকে এসইও সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে হবে।
মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন
বর্তমানে ব্লগিং করে আয় করা যায়। তার জন্য আপনার ব্লগ যখন নিয়মিত ভিজিটর আসতে থাকবে তখন অ্যাডসেন্স অ্যাড নেটওয়ার্ক সাইট সাবমিট করে মনিটাইজেশন করতে হবে।
শেষ কথা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে আপনার আজ জানতে পারবেন ব্লগিং কি ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। ব্লগিং কি ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনাদের সাথে। আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন।
যদি আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর নতুন নতুন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটা প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।আল্লাহাফেজ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url