তাহাজ্জুত নামাজের নিয়ম ও উত্তম সময়
নফল নামাজের সবচেয়ে ফজিলত নামাজ তাহাজ্জুদ। আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ প্রতিনিয়ত ও আদায় করতেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম নিজে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবীদের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার তাগিদ দিতেন। আল্লাহকে স্মরণ করে যে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবে সে কিয়ামতের দিন বিনা হিসাবে জান্নাতি হবেন।তাই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও উত্তম সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনাদের সাথে।
পোষ্ট সূচিপত্রতাহাজ্জুদ নামাজের পর যে দোয়া করা হয় আল্লাহর কাছে সে দোয়া কবুল হয়। যখন কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন তখন আল্লাহ খুশি হয়ে আসমান থেকে নেমে আসেন এবং সে ব্যক্তির ফরিয়াদ শুনেন।এই তাহাজ্জুদ নামাজের আরও কি কি ফজিলত আছে তা জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছু মালিক একমাত্র আল্লাহ। আর আল্লাহর কাছে আমরা সব সময় কিছু না কিছু চাই আর আল্লাহ আমাদেরকে সেই জিনিসটি খুব দ্রুতই দেয় তার প্রিয় বান্দা হিসেবে। আল্লাহর কাছে যদি তাহাজ্জুদের নামাজ গভীর রাতে আদায় করার পরে যদি আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কিছু চাওয়া যায় দোয়া করা যায় সেটি আল্লাহ অবশ্যই পূরণ কর ।
আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি এ তাহাজ্জুদ নামাজ প্রতিনিয়ত পড়বে তার জন্য কিয়ামতের দিন শাস্তি খুব কম হয়ে যাবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি গভীর রাতে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর নিয়তে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে সেটা অতি উত্তম তবুও এশার নামাজের পর কোন ব্যক্তি ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারে। তবে গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অতি উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
পবিত্র আল কোরআনের প্রতিটি নামাজের নিয়তের কথা বলা হয়েছে। নামাজে দাঁড়ানোর সময় নামাজের নিয়ত করতে হয়। প্রত্যেকটা নামাজের নিয়ত আছে তবুও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত যদি কোন ব্যক্তি না পারে তাহলে তা আল্লাহর নিকটে কে বলতে পারে আমি তখন থেকে নামাজ আদায় করছি।
রাকাত সংখ্যা
২ থেকে ২০ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজের বর্ণনা পাওয়া গেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কখনো ১২ রাকাত কখনো ৮ রাকাত বা কখনো ৪ রাকাত নামাজ আদায় করতেন। ১২ রাকাত না হলে কমপক্ষে ৪রাকাত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করব।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত পড়লেও নেকি আছে ।
তবে ২ রাকাত করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। ৪ রাকাতের বেলায় মোনাজাত করতে হয়। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট সূরা পাঠ করা লাগে না। যেকোনো সুরা দিয়ে আদায় করা যেতে পারে। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বড় বড় সূরা পাঠ করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ত থাকলে বেতের নামাজ পড়া যাবে না। তাহাজ্জত নামাজ আদায় করার পর বেতের নামাজ আদায় করবেন।
কিছু ভুল ধারণা
তাহাজ্জত নামাজ নিয়ে অনেক মানুষই ভুল ধারণা করে থাকে তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব
- তাহাজ্জুত নামাজ একদিন পড়লে প্রতিনিয়তই পড়তে হয় এটা জরুরি নয় । প্রতিনিয়ত পড়লে ভালো না পড়লে মনে নেই।
- তাহাজ্জুদ নামাজে প্রথম রাকাতে ১১বার আয়তুলকুসরী ২০ বার সূরা ইখলাস দিতে হয় আবার দ্বিতীয় রাকাতে নাকি সূরা ইখলাস ১০০ বার পড়লে নাকি অনেক সোয়াব বা নেকি পাওয়া যায়। এটাও কিন্তু ভুল কথা। কোন হাদিসের এমন বাধ্যতামূলক সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার কথা এখনো পাওয়া যায়নি। আপনি যেকোনো সুরাট দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
শেষ কথা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে আপনারা আজ জানতে পারবেন তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও উত্তম সময়। তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে সকল বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনাদের সাথে।আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন।
যদি আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। নতুন নতুন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটা প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন।। ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url