Facts About Duck in Bengali - হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য

প্রিয় পাঠক হাঁস পালন করা খুবই সহজ আমরা সকলেই জানি। আমরা অনেকে আছি হাঁস পালন করতে খুব ভালোবাসি ও পছন্দ করি। তবে খালি হাঁস পালন করার ইচ্ছা বা শখ থাকলে হবে না কিভাবে পালন করতে হবে এই সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়ম বা তথ্য না জানেন তাহলে কখনোই আপনি হাঁস পালন করে লাভবান হতে পারবেন না। হাঁস পালন করার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে হাঁস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আজকের পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য। তাই হাঁস সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে পড়তে হবে।


হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য



 পোষ্ট সূচিপত্রএছাড়াও আজকে রাতে গেলে আপনারা জানতে পারবেন হাঁস পালনের নিয়ম, হাঁস রোগ, হাঁসের ডিম সম্পর্কে ইত্যাদি তথ্য। Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেল কি আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা। Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মানুষ হাঁস পালন করে অল্প সময়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। আপনিও যদি বাসায় বসে হাঁস পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাঁস সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি বাসায় বসে থেকে হাঁস পালন করতে পারবেন খুব সহজে কিন্তু অবশ্য হাঁস পালন সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে। হাঁস পালন করা খুবই সহজ একটি বিষয়।

আপনি যদি সঠিক নিয়মে হাঁস পালন করতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত লাভবান হবেন হাঁস পালন থেকে। তবে অবশ্যই খুব অল্প সময় কিভাবে লাভবান হবেন সেই সম্পর্ক আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনাদের সাথে। হ্যাঁ, হাঁস পালন কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে।

চলুন অল্প সময়ে কিভাবে আপনি হাঁস পালন করবেন এ সম্পর্কে জানা যাক। Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম দিকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য

বর্তমানে বাংলাদেশে হাঁস পালনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে যদি আপনিও বাসায় বসে থেকে বাঁশ পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার হাঁস পালন সম্পর্কে জানতে হবে। হাঁস অনেক জায়গায় বলা হয় পাখি আর হার্ট সবচেয়ে খেতে পছন্দ করে মাছ। হাঁ, সবচাইতে বেশি পাওয়া যায় আফ্রিকা উত্তর ও আমেরিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ইত্যাদি দেশে।

আর হাঁস পালন করা খুবই সহজ। যদি আপনার বাসার পাশে পুকুর বা নালা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই হাঁস পালন করতে পারবেন। তবে হাঁস পালন করার সহজ কিন্তু ঘাসের পিছনে অনেক পরিশ্রম বা সময় দিতে হবে। আপনি যদি হাঁসের সঠিকভাবে পরিচর্যা না করতে পারেন তাহলে পালন করা থেকে ভালো ফল কখনো আশা করতে পারেন না। আপনি যদি হাঁস পালন থেকে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিচর্যা করতে হবে খুব বেশি।

তার হাঁস পালনের আগে আপনার ধৈর্য ও পরিচর্যার ক্ষমতা থাকতে হবে বেশি তাহলে আপনি হাঁস পালন করতে পারবেন। হাঁস সব সময় পানিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে ও গরম সহ্য করতে পারে না এই সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। হাসির রোগবালাই সম্পর্কে আপনাকে সঠিক তথ্য মাথায় রাখতে হবে।

Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য


প্রাণীর নাম 

হাঁস

শ্রেণী

অ্যানাটিডি

জীবনকাল

10 বছর

গতিবেগ

100 কিমি

দৈর্ঘ্য

50 – 65 CM.

Facts About Duck in Bengali  -  হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য

  • অতি পরিচিত প্রাণী হচ্ছে হাঁস। আর হাত সবচাইতে বেশি থাকতে পছন্দ করে পানিতে।
  • সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাস এইসব দেশে জাপান, রাশিয়া, চীন, পশ্চিম এশিয়া ইত্যাদি দেশে বেশি পাওয়া যায়
  • হাঁসের শরীর অনেক শক্ত হয়। এদের ভালো নীল ও সাদা রঙ্গের হয়।
  • হাঁস বেশি পানিতে থাকতে পছন্দ করে।
  • আজ দুই রকমের হয়। একটি হচ্ছে চাইনিজ হাঁস ও আরেকটি হচ্ছে বাঙালি হাস।

হাঁসের জীবনকাল

স্ত্রী হাঁসের ডিম দিয়া থেকে শুরু হয় হাঁসের জীবনচক্র। ডিম নিয়ে বসে থাকতে হয় হাসকে প্রায় ২৮ দিনের মতো। তারপরে হাঁসের বাচ্চা তুলতে পারে। এখন আপনাদের সাথে হাঁসের জীবন চক্র বা জীবনকাল নিয়ে আলোচনা করব।

ডিমের পর্যায় : হাঁসের যেখানে সেখানে ডিম পাড়ে কারণ হাঁস কখনো বাসাতে বা বাসার বাইরে বা গাছের তলেও ডিম পাড়ে। সাধারণ হাঁসগুলো ছয় থেকে বারটি ডিম পাড়ে। আবার কিছু হাঁসের আছে যা ২০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। সে হাঁসের ডিম নিয়ে বসে থাকতে বা বাচ্চা দেয়ার সময় লাগে ২৮ দিন। ডিম নিয়ে ২৮ দিন বসে থাকার পরে বাচ্চা তুলতে পারে।

হাঁসের বাচ্চার পর্যায়ে : হাঁসের বাচ্চা হয় ডিম ফুটানোর মাধ্যমে। প্রথমে হাঁসের পালকে আবৃত থাকে তা এবং নিজে শরীরে তাপমাত্রা উড়তে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। মা আর তাদেরকে কিভাবে খাবার খেতে হয় কিভাবে সাঁতার কাটতে হয় কিভাবে বেড়াতে হয় এগুলো সব শিখাই দেয়। কিছু নির্ভর করে মা হাঁসের ওপরে।

কিশোর পর্যায় : হাঁসের বাচ্চার পালক গজায় বা উড়তে সক্ষম হয় প্রায় দুই থেকে তিন মাস পরে। যখন তাদের পালক গজায় বা তাদের উড়তে সক্ষম হয় চলাচল করতে পারে তখন মা হয় তখন তাদের ওপরে যত্ন নেয়া ছেড়ে দেয়। এ পর্যায়ে কে তা বলা হয় কিশোর পর্যায়ে।

পরিপক্কতা পর্যায় : হাঁসের যখন এক বছর বয়স পূর্ণ হয় তখন তার পরিপক্কতা পর্যায়ে পড়ে। তখন হাসের যৌনভাবে পরিণত হয় বা প্রজনন করতে সক্ষম হয়। তবে অনেক জাতের হাঁস পাওয়া যায় তাদের প্রজাতির ওপর নির্ভর করে হাস প্রায় ১০ বছরের বেশি পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

হাঁসের ডিম

বর্তমানে হাঁস পালন করে মানুষ অনেক লাভবান হচ্ছে কারণ হাঁস বিক্রি করেও ডিম বিক্রি করে। সাধারণত হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বড় হয়। হাঁসের ডিম কুসুমের চেয়ে সাদা অংশটা কিছুটা ঘন হয়। মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমে বেশি প্রোটিন বা চর্বি থাকে। হাসির ডিমে সবচাইতে বেশি ভিটামিন বি ১২ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাঁস পালনের নিয়ম

বর্তমানে অনেক মানুষ হাঁস পালন করছে এবং খুব দ্রুত লাভবান হচ্ছে। তবে অবশ্য হাঁস পালন করার আগে আপনাকে হাঁস পালনে কিছু নিয়ম জানতে হবে। যদি আপনি হাঁস পালনের সঠিক নিয়ম না জানেন তাহলে কখনো আপনি হাঁস পালন করে সুফল পাবেন না। হাঁস পালনের জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখানে থাকবে পুকুর বা নদী নালা এমন জায়গা।

সবচাইতে পানিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে। হাস বেশি পুকুরে থাকতে পছন্দ করে কারণ হাঁস পুকুর থেকে বিভিন্ন রকমের খাবার পায়। যেমন : কচুরিপানা, মাছ, শামুক, ইত্যাদি খাবার। যার ফলে আপনার খাবারটা একটু কম লাগতে পারে। তবে অবশ্যই এই বাড়ির আশেপাশে যদি পুকুর বা নানান না থাকে হাঁস পালন করা যাবে না ব্যাপারটা এমনও নয়।

বাড়ি আশেপাশে পুকুর বা নদী-নালা যদি না থাকে তাহলে আপনি হাঁস পালন করতে পারবেন। তবে আপনার কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হাঁসের খাবারটি একটু বেশি লাগতে পারে হাঁসের রোগবেলা একটু বেশি হতে পারে হঠাৎ হাঁস মারা যেতে পারে। তাই আপনি হাঁস থেকে লাভবান এর চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন টা বেশি হতে পারে। হাঁস জন্য অবশ্যই পুকুর নদী নালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।হাস একেবারে মোটেও গরম সহ্য করতে পারে না। হ্যাঁ সব সময় পানিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে। আর হাঁস পানিতে থাকলে রোগবালায় খুবই কম হয়।

হাঁসের রোগ

বর্তমান সব প্রাণীই কমবেশি রোগ বালাই হয়। তবে কিছু কিছু প্রাণী বেশি রোগ হয় আর কিছু কিছু প্রাণী কম রোগ হয়। হাঁসের রোগ একটু কমই হয়। হাঁস পানিতে থাকতে পছন্দ করে আর পানি থাকলে হাঁস রোগ বালাই কম হয়। যদি আপনার আশেপাশে পুকুর নদীমালা না থাকে আর যদি পানিতে না থাকতে পারে তাহলে হাসের রোগবালায় একটু বেশি হবে।

হাঁসের  সবচাইতে বেশি রোগ দেখা যায় চোখে ইনফেকশন। হাঁসের সবচাইতে বেশি ইনফেকশন রোগটা দেখা যায়। তবে এ রোগের জন্য বিভিন্ন রকম ড্রপ পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। হাঁসের রোগের নামগুলো নিচে দেয়া হল
  • ডাক কলেরা
  • ডাক ভাইরাস হেপাটাইটিস
  • কলিবেসিলোসিস
  • ডাক প্লেগ
  • বটুলিজম
সাধারণত এইসব রোগ গুলো বেশি দেখা যায় হাঁস।তা অবশ্যই হাঁসের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন যেন এইসব রোগ থেকে দূরে থাকে। যদি এসব রোগের লক্ষণ দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ড্রপ ব্যবহার করুন।

হাঁসের মাংস থেকে আমরা কি কি পাই

হাসির মাংস আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। হাঁসের মাংস অনেক আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।হাঁসের মাংস থেকে আয়রন আমাদের শরীরে অনেক শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে। হাঁসের মাংসের অনেক মাংসে ভিটামিন বি পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য খুব উপকারী।

শেষকথা।Facts About Duck in Bengali - হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য 

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে এতক্ষণ আপনারা জানতেও বুঝতে পেরেছেন যে Facts About Duck in Bengali এবং হাঁস সম্পর্কে কিছু তথ্য। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে বা কোন উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই। আল্লাহাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url